বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে বসতঘর সংস্কার করতে গিয়ে টিনে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরিফুর রহমান আরিফ (৩০) নামের আরও একজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢলুয়া ইউনিয়নের হারুন অর রশীদের ছেলে মো. হেলাল (৩৫), জলিল খানের ছেলে রবিউল খান ও শাহজাহান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলান (৪০)। তাঁদের মধ্যে হেলাল ও বেলায়েত আপন মামাতো ফুফাতো ভাই। এ ছাড়া রবিউল ও হেলাল চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী হেলালের চাচা মতিউর রহমান বলেন, হেলাল প্রায় ১৩ বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর মাসখানেক আগে দেশে ফিরে সম্প্রতি টিনের ঘর ভেঙে পাকা দালানের ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন। শনিবার বেলা ১টার দিকে টিনের চালা খুলতে গেলে ওই চালা পাশের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ তারের ওপর পড়ে গিয়ে টিনে বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় হেলাল, রবিউল, বেলায়েত ও আরিফ এই চারজন বিদ্যুতায়িত হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ফরহাদ হোসেন পরীক্ষার পর হেলাল, রবিউল ও বেলায়েতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বরগুনা পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আরব আলী বলেন, ‘কেউ ঘর সংস্কার করতে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। আমরা সংযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ করার পর অনুমতি দিয়ে থাকি। কিন্তু এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমাদের অবহিত না করে অনুমতি ছাড়াই ঘরের সংস্কারকাজ শুরু করেছে। যার ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দায়িত্বে অবহেলা, আমরা তদন্ত করে দেখব। আপাতত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা আমরা আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছি।’