বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন দাদা। তাঁকে থানায় দেখতে গেলে শফিউজ্জামান খান ফরিদকে ধরে গারদে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। হাজতে ঢুকে দেখতে পান বাবা শোয়েবুজ্জামান খান শুভকেও আটক করা হয়েছে। পরে আদালতে তুললে দুজনকেই ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
ফরিদের দাদা মনিরুজ্জামান খান ফারুক বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক। আজ বুধবার সকালে নগরের সিঅ্যান্ডবি রোড থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করা হলে মনিরুজ্জামানের ছেলে ও নাতি মুক্তি পান।
মনিরুজ্জামান খান ফারুকের ছেলে ও নাতিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৮১ ধারায় (ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন) আটক দেখিয়ে আদালতে চালান করে পুলিশ।
আজ বেলা ১১টার দিকে ফারুকের ছেলে শোয়েবুজ্জামান খান শুভকে নাজিরপুল থেকে এবং নাতি (শুভর ছেলে) শফিউজ্জামান খান ফরিদকে কোতোয়ালি থানা কম্পাউন্ড থেকে আটক করা হয়। এর আগে সকাল ৭টায় সিঅ্যান্ডবি সড়কে অবরোধের চেষ্টা করলে মনিরুজ্জামান খান ফারুকসহ বিএনপির ১৫ নেতা–কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মীর জাহিদুল ইসলাম জানান, মনিরুজ্জামান খান ফারুকের ছেলে ও নাতি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ছেলে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন এবং নাতি পলিটেকনিকে লেখাপড়া করেন। ছেলে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে নাজিরপুল এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে। আটক বাবা ও দাদাকে দেখতে কোতোয়ালি থানায় গেলে নাতি ফরিদকেও আটক করা হয়। সন্ধ্যায় দুজনকে ৮১ ধারায় চালান দেওয়া হয়। আদালতে স্বীকারোক্তি নিয়ে ২০০ টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেন বিচারক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিভিন্ন ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেই অভিযোগের ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।’