যুগে সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার বহু ঐতিহ্য। হারিয়ে গেছে বাংলার বিয়ে ও বিয়ে বাড়ির চিরচেনা রূপ। বিয়ে বাড়িতে পালকির দেখা মেলে না। আজ শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নে আলতাফ হোসেন বেপারীর ছেলে বাহাদুর বধূ নিতে পালকি নিয়ে আসেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে পালকিটি ভাড়া করেন তিনি।
দীর্ঘ দিন পরে পালকিতে বর দেখে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে দেখতে যান। পালকির ঐতিহ্য ফেরাতে বাহাদুর বেপারীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন অনেকে। একই গ্রামের দলিল উদ্দীন মৃধার মেয়ে তানহার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
চরকালেখান গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খান জানান, বর্তমানে পালকি তেমন একটা পাওয়া যায় না। সবাই গাড়ি ব্যবহার করে। বাহাদুর বেপারী তার নববধূকে নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া গ্রাম থেকে পালকি এনেছেন। এটা ভালো উদ্যোগ। পরিবেশবান্ধব পালকির ব্যবহার নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।
পালকির মালিক ইসমাইল সরদার বলেন, পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও পালকির ব্যবসা করছেন। কিন্তু এখন অধিকাংশ মানুষ গাড়ি ব্যবহার করে। তাই তাদের তেমন একটা ডাক পড়ে না। মাঝে মধ্যে দূর থেকে দু’একটি বিয়েতে তাঁদের নিতে আসে। পালকি ভাড়া হলে ভালো লাগে, সঙ্গে আয়ও হয়। তবে নিয়মিত ডাক না পাওয়া পেশা বদলাতে হচ্ছে তাঁদের।