বরিশালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গে নিয়ে আরও ২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৯৫ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৯৭। আজ শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল ও ভোলায় ৩ জন করে এবং ঝালকাঠিতে ২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগের ছয় জেলায় মোট ৭২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেলায় ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় কেউ পজিটিভ শনাক্ত হননি।
বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা জাকারিয়া খান স্বপন জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ১৫ জন মারা গেছেন। আরটিপিসিআর ল্যাবে ১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৫ ভাগ।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বাধিক ১০৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হয় ভোলা জেলায়। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১৯ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শনাক্তের হার বেশি বরিশালে ৩২ দশমিক ৫৭ ভাগ। এ জেলায় ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ঝালকাঠিতে মাত্র ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ২ জন।
পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে শনাক্তের হার যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৩ ও ১৬ দশমিক ১৩ ভাগ। পটুয়াখালীতে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন এবং পিরোজপুরে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৭৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে পজিটিভ শনাক্ত রোগী ৯৭ জন।