চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণসহ চার দাবিতে আন্দোলন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার তাঁরা ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। পরে তাঁরা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আন্দোলনকারীরা দুপুর সাড়ে ১২টায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সব কক্ষ থেকে স্টাফদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে এ সময় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম কার্যালয়ে ছিলেন না। উপাচার্য ড. সুচিতা শরমিনও ক্যাম্পাসে নেই বলে জানা গেছে।
অপর দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে উপ–উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী ও ট্রেজারার মামুন অর রশিদকেও চিঠি দিয়েছেন। তাঁদের দাবিগুলো হচ্ছে, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল; চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অপর শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, এই অবৈধ রেজিস্ট্রার স্বৈরাচারের দোসর। তাঁকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন আরও জোরালো হবে।
জানতে চাইলে ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি অবসরে গেছেন এবং উপাচার্যের নির্দেশে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু একটা মহল রেজিস্ট্রার পদ দখল করতে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
এ ব্যাপারে ট্রেজারার মামুন অর রশিদ বলেন, দ্রুত রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করে সমস্যার সমাধান করা উচিত। উপ–উপাচার্য ড. গোলাম রব্বানী বলেন, এর সমাধান উপাচার্যের কাছে।