বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সানুহারে যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়েমুচড়ে গেছে। নিহত হয়েছে শিশুসহ ১০ জন। আহত হয়েছে ২৫ জন। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেবাচিমে চিকিৎসাধীন যাত্রী আবুল কালাম বলেন, শনিবার রাত ১০টায় বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের একটি স্থানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। ঠিক করতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে।
আবুল কালাম বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের ফেরি পার হতে বেজে যায় রাত সাড়ে ৩টা। ফেরি পার হয়ে চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা অনেকবার বললেও তিনি শোনেননি।
আবুল কালাম পিরোজপুরের নেছারাবাদ যাওয়ার জন্য সাভার থেকে বাসটিতে উঠেছিলেন। আর ১৫ মিনিট পর তাঁর বরিশালের গড়িয়ারপাড় নামার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় হাত-পা ভেঙে গেছে তাঁর।
বরিশাল নগরের সদর রোডের বাসিন্দা মিলন দাস (৩৪) যমুনা লাইনের বাসটির যাত্রী ছিলেন। গুরুতর আহত হয়ে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘তখন ভোররাত। বাইরে অন্ধকার ও বৃষ্টি। অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন ঘুমে। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। রাস্তার পাশের গাছে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা খেল বাসটি। আমি বাসের মাঝামাঝি জানালার পাশে বসেছিলাম। গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর জানালা ভেঙে ছিটকে বাইরে পড়ে যাই। চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের মরদেহ দাফনে ২০ হাজার টাকা ও দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেককে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শেখ বেল্লাল জানান, এ দুর্ঘটনায় যমুনা লাইন পরিবহন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গাড়ির চালকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।