পিরোজপুরের সদর উপজেলায় শংকরপাশা ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহবুব শুভ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার রাত ১১টায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে থাকা যুবলীগের নেতারা।
নিহত ফয়সাল মাহবুব শুভ (৩৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার উকিলপাড়া এলাকার মাহবুব এ খোদার ছেলে। তিনি পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন।
জানা যায়, গত ০৭ নভেম্বর রোববার নৌকা মার্কার পক্ষে মো. তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক স্বপনের নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ শেষে রাতে শহরে ফিরছিলেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক দলীয় নেতা কর্মীরা। ফেরার পথে ওই ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ি স্ট্যান্ডে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাও. নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ফয়সাল মাহাবুব শুভ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল এবং পরে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ নভেম্বর সোমবার দুপুরে খুলনা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুভর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাতুব্বর সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান।
পিরোজপুর ফয়সাল মাহবুব শুভর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস, মাঈনুল হোসেন খান, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ হাকিম হাওলাদার, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীসহসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।