গৌরনদীতে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে আল্লার মসজিদ। এই মসজিদের নির্মাণ বা নির্মাতা সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায়নি। কারও মতে, এই মসজিদটি ছবি খাঁ নির্মাণ করেছেন। আবার কেউ বলেন, খানজাহান আলীর কথা। আল্লার মসজিদটি বাগেরহাটের ৯ গম্বুজ ও খুলনার মসজিদ কুড়ের মতো ৯ গম্বুজ বিশিষ্ট। পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। এটির ঐতিহ্য ধরে রাখতে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বর্গাকারে নির্মিত মসজিটির দৈর্ঘ্য–প্রস্থ ১১ দশমিক ৬৮ মিটার, দেয়ালগুলো ২ দশমিক ২৮ মিটার চওড়া। মসজিদের সম্মুখ ভাগে ফুলসহ বাহারি নকশা। চার কোণে চারটি গোলাকার ট্যারেট আছে। ট্যারেটগুলোও কারুকার্যময়। মসজিদটির উল্লেখ্যযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো–এর কার্নিশগুলো বর্গাকার। মসজিদটির পূর্ব-উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে প্রবেশ পথ আছে। পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মেহরাব প্রধান মেহরাবটি বড় ও সুসজ্জিত। মসজিদটির নির্মাণও স্থাপত্য কৌশল পর্যবেক্ষণে অনুমিত যে, এটা পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত। এটি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু লোক আসেন। কথিত আছে, এখানে এসে কেউ কিছু মানত করলে পূর্ণ হয়।
স্থানীয় মুসল্লি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মসজিদের গম্বুজ থেকে তেল পড়ে। এই তেল নিয়ে অসুস্থ মানুষের শরীরে মাখলে সুস্থ হয়ে যায়। এই বিশ্বাস থেকে অনেকে তেল নেন। গম্বুজের তেল সংগ্রহ করতে করতে গম্বুজগুলো ক্ষয় হয়ে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে। এ কারণে মসজিদ কর্তৃপক্ষ গম্বুজ রক্ষায় লোহার খাঁচা তৈরি করে দিয়েছেন যাতে কেউ গম্বুজগুলো স্পর্শ করতে না পারেন। মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, আল্লাহর মসজিদের সামনে রয়েছে প্রাচীন একটি দীঘি। ওই দীঘিতে এসে অনেকে গোসল করে আরোগ্য হন বলে মানুষের ধারণা রয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘মসজিদের দর্শনার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’