বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর জুড়ে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে কিছু অসাধু জেলেরা। এ তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার দুপুরে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এলাকায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ। এ সময় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকায় জেলে পল্লীর শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যসহ মৎস্য বিভাগের মাঝিমাল্লা আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে পাঁচজন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু।
আহতদের মধ্যে মৎস অফিসের স্টাফ আবু বক্কর সিকদার, শ্রমিক মোহাম্মদ কামাল সিকদার, আলমগীর হাওলাদার, ফারুক আকন ও মোহাম্মদ রেজওয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার সাইফুল হাসান বলেন, ‘আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড আঘাত রয়েছে। এদের একজনের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের মোহনা বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর এলাকায় বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল, বেহুন্দী, ঘোপ, চর ঘেরাসহ ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। এগুলো বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালায়। এ সময় জেলেরা হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ‘নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’