বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ল্যান্ডমাইন ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রামু সেনাসদর থেকে আসা বোমা নিষ্ক্রিকারী বিশেষজ্ঞ দল এ কাজ করে। আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম সীমান্তে দায়িত্বরত ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এম খাইরুল আলম।
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টায় সুইপিংয়ের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষজ্ঞ দল। বেলা ১১টা ৪২ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত একটি ল্যান্ডমাইন, তিনটি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার গোলা ও চারটি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করা হয়। রামু সেনাসদর থেকে আসা বোমা বিশেষজ্ঞ দলটি বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ফিরে যায়।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক খাইরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা তাঁদের নিজেদের দেশের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তাঁদের অংশে ল্যান্ডমাইন বসিয়েছে। এর আগে মিয়ানমার সরকারও তাদের স্বার্থে এসব বসিয়েছে। কিন্তু পাহাড় ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সীমানার কাছাকাছি ল্যান্ডমাইনগুলো বসানো হয়।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক জানান, গত রোববার (১২ অক্টোবর) বিজিবি সদস্য নায়েক মো. আক্তার মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির আবেদনে রামু সেনানিবাসের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলটি আসে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীন রেজু আমতলী বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৪০-সংলগ্ন রেজু আমতলী বিজিবির নতুন ক্যাম্পের প্রস্তাবিত জায়গা পেয়ারাবুনিয়ায় যায় তারা। সেখানে আটটি বিস্ফোরক সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়।