বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার খুইল্যামিয়া পাড়ায় আগুনে পাঁচটি বসতঘর ও সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে পাঁচটি বসতঘর ও সাতটি দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার শাহাদাত হোসেন বলেন, আলীকদম ও লামা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে।
খুইল্যামিয়া পাড়ার সর্দার ফরিদুল আলম বলেন, আগুনে পুড়ে পাঁচটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধী পরিবারও ছিল। সাতটি দোকান পুড়ে গেছে এ ঘটনায়। এর মধ্যে পাঁচটি ফার্নিচার ও কাঠের দোকান, একটি মুদি দোকান ও একটি মেশিনারি মেরামতের দোকান ছিল।
আগুনে মো. আব্দুস সোবাহান, কেশপ ধর, তুষার ধর, মো. হারুনের কাঠের দোকান, মো. শাহ আলমের ফার্নিচারের দোকান, মহিউদ্দীনের মুদি দোকান ও নজরুল ইসলামের মেশিনারি মেরামতের দোকান পুড়ে ছাই হয়। আগুনে ভাড়া বাসায় থাকা মো. শামসুল আলম, মো. নুরুল হক, ফারজানা আক্তার, সালাউদ্দীন ও ছেনুয়ারা বেগমের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাড়ির মালিক ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে জানি না। যখন দেখতে পাই, ততক্ষণে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।’
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুবা ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি পাঁচটি পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল, ডাল, তেল এবং হাঁড়ি-পাতিল, বালতি, মগ বিতরণ করেন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দীন সরকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং পুলিশ সদস্যদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মালামাল রক্ষাসহ সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দেন।