বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের আলেচুপাড়ার বাসিন্দা ক্যহ্লাওয়াং মারমা (৩০), উহাইসিং মারমা (২২) ও ক্যসাইওয়াং মারমা (২৩)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন চহাই মার্মা (২০) ও ক্যওয়াংসাই মার্মা (২০)।
এদিকে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য রুমা উপজেলা থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে চলতি মাসে ওই পাঁচ যুবক ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্রমাগত ধর্ষণ করে আসছিলেন। প্রথমে এক বন্ধু ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বিষয়টি অন্য বন্ধুদের জানান, পরে অন্য বন্ধুরা মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করতে থাকেন শিক্ষার্থীকে। পরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঘটনাটি নিয়ে ওই পাড়ায় সামাজিক বিচার বসলে সেখানে পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মারমা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গংবাসে মারমা অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। বিষয়টি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে এলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ এই বিচার প্রত্যাহার করে এবং অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে।
এ বিষয়ে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।