সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির পর এবার বান্দরবানের থানচিতে দিনে দুপুরে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী ৩০ জন আনসার বাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় তিনটি চান্দের গাড়িতে করে এসে প্রায় একই সময় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। ১০ মিনিটের মধ্যে অস্ত্রধারীরা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের ৩০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকার বেশি এবং ১৫টি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের আসার খবর পেয়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। তবে দুই ব্যাংকের ভল্ট অক্ষত আছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি গাড়িতে করে মোট ২৫–৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল এ ডাকাতিতে অংশ নেয়। থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি।’
সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ওমর ফারুক বলেন, ‘ডাকাতরা ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে অফিশিয়ালি ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’
সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক ভুক্তভোগী গ্রাহক আরমান বলেন, ‘আমি ভেতরে ছিলাম, ডাকাতরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনসহ আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা নিয়ে গেছে।’
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন জানান, দুটি ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী দল।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫০–৬০ জনের সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ, আনসার সদস্যদের দুটি সাব–মেশিন গান ও এর ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চাইনিজ রাইফেল ও এর ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং চারটি শটগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে তারা। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এদিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র লুটের ১৪ ঘণ্টা পার হলেও মামলা হয়নি। আজ সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।