বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
আটক রোহিঙ্গার নাম হাবিবউল্লাহ (১৯)। তিনি কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১-এর ইস্ট ব্লক ই/ ৯-এর মুহাম্মদ রশিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
এ সময় ১২ বান্ডিল (১ হাজার করে) টাকা জব্দ করে তারা। যা সর্বসাকল্যে ১২ লাখ টাকা। এ সময় রোহিঙ্গা নাগরিক হাবিবউল্লাহকে হাতেনাতে আটক করেন পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
পুলিশ আরও জানায়, আটক রোহিঙ্গা তরুণ জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত আলী জোহান (রোহিঙ্গা) দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই লোকমান হাকিম (কালাপুতু) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে লেবুতলী দুর্গম পাহাড়ি বেতর ঝিড়ি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত হন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ১২ লাখ জাল টাকাসহ আটক রোহিঙ্গার জবানবন্দির ভিত্তিতে আরও দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।