আমার বিয়ে হয়েছে ৭ বছর। সন্তান নেই। এক বছর আগে স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় বলে যায়, আমাকে বিদেশে নেবে এক বছর পর। এখন বিদেশে গিয়ে আমাকে জোরপূর্বক তালাক দিতে চাচ্ছে। এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। আগের বিয়ের বয়স ছিল ১০ বছর। আমাকে বিভিন্নভাবে প্রতারণায় ফেলে বিয়ে করেছে। তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়েছিল। তাকেও জোর করে ছেড়ে দিয়েছে। এখন যা করছে আমার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কী মামলা দিতে পারি, যাতে আর কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে। মায়মুনা তন্বী, নাটোর
দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আপনি কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন, তার একটি ধারণা দিচ্ছি। তবে সঠিকভাবে এগোতে একজন অভিজ্ঞ পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ
পারিবারিক আদালতে মামলা
ভরণপোষণ মামলা: যদি স্বামী আপনাকে কোনো খরচ না দেয়, তবে ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন।
তালাক বা ক্ষতিপূরণ দাবি: প্রতারণার প্রমাণ থাকলে ক্ষতিপূরণ দাবি করা সম্ভব।
দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রতারণার মামলা
আপনার স্বামী যদি ভুয়া ডিভোর্স দেখিয়ে আপনাকে বিয়ে করে থাকেন, তাহলে এটি প্রতারণা হিসেবে গণ্য হয়। এ জন্য আপনি থানায় জিডি করে পরে ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০
জোরপূর্বক তালাক বা প্রতারণা করে বিয়ে করলে মানসিক নির্যাতন হিসেবে গণ্য হতে পারে। এর আওতায় অভিযোগ আনা সম্ভব।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর বা লিগ্যাল এইড
সরকারিভাবে বিনা মূল্যে আইনগত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে দরিদ্র বা প্রতারিত নারীদের জন্য।
» জাতীয় লিগ্যাল এইড সেবা সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার করণীয়
সব প্রমাণ সংগ্রহ করুন—
» ভুয়া ডিভোর্সের কপি
» ফেসবুক/চ্যাট/কল রেকর্ড
» বিয়ের কাগজপত্র
» আগের স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন।
এসব প্রমাণ নিয়ে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করুন। তিনি ঠিক করে দেবেন, কোন ধারায় মামলা দিলে সবচেয়ে কার্যকর হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় থানায় জিডি করুন, যাতে আইনি রেকর্ড থাকে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অ্যাডভোকেট,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট