বিমান ভ্রমণে পাখির চোখে বিশ্ব দেখা যায়। চোখের সামনে ধরা দেয় পেঁজা তুলার মতো সাদা মেঘ। এ বিমান নিয়েই ল–র–ব–য–হর আজকের পর্ব—
* যাত্রীবাহী বিমান সাধারণত ৩১,০০০ থেকে ৪৩,০০০ ফুট উচ্চতা দিয়ে চলে। গতি থাকে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯২৬ কিলোমিটার। উচ্চতা ও গতি মিলে চলন্ত বিমানের গায়ে বায়ুমণ্ডল থেকে ৫৫১৫৮.১ নিউটন/বর্গ মিটার চাপ সৃষ্টি হয়। যা ৫,০০০ কেজি ওজনের সমান। কোন যাত্রীর পক্ষে ভেতর থেকে এত উচ্চ চাপ প্রয়োগ সম্ভব নয় বলে কোন যাত্রী চাইলেই চলন্ত অবস্থায় বিমানের দরজা খুলতে পারে না। এ ছাড়া, দরজার নিয়ন্ত্রণও থাকে মূলত পাইলটের হাতে।
* খেয়াল করলে দেখবেন প্রায় সব বিমানের জানালা গোলাকার। শুরুতে কিন্তু এমন নয়, জানালা চারকোনাই ছিল। পরে দেখা যায় উচ্চ গতির কারণে কোনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানালা গোলাকার করার মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান মেলে।
* বিমান খুব বেশি উঁচুতে উঠে গেলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে। তখন বিমানের অক্সিজেন মাস্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেমে আসে।
* বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য গাড়িতে ওয়াইপার থাকে। বিমানের ক্ষেত্রে কী হয়? বিমানের গতি এত বেশি থাকে যে সামনের কাচে বৃষ্টির পানি জমতেই পারে না। তাই ওয়াইপারও লাগে না।
* বিমানেও কিন্তু হর্ন থাকে। তবে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে বা ওভারটেকের উদ্দেশ্যে নয়; অবতরণের সময় রানওয়ে খালি করার সংকেত দিতে এ হর্ন বাজানো হয়।