পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপে ভিন্নতা রয়েছে। এ নিয়ে গৌরবের শেষ নেই। তবে কুকুরের নাকেও কিন্তু এমন বৈচিত্র্য রয়েছে। ছাপ নেওয়া হলে একেক কুকুরের নাকের ছাপ হবে একেকরকম।
কুকুরের রয়েছে এমন আরও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এর ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় ১০০ থেকে ১ লাখ গুণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। শ্রবণশক্তির তুলনা করলে মানুষের চেয়ে কুকুর ১০ গুন এগিয়ে। ১৮ ধরনের পেশি কাজ করায় কুকুরের কান অনবরত নড়তে থাকে। অর্থাৎ, মানুষ টের পায় না এমন মৃদু শব্দ ও ঘ্রাণ কুকুর খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারে। ঘ্রাণ নেওয়া আর শ্বাসকার্য চালাতে পারে সমান তালে।
কুকুর মানুষের ব্যবহৃত প্রায় ১০০ শব্দ আয়ত্তে রাখতে পারে। বুদ্ধিতেও বিশেষত্ব থাকায় এদের বিশেষ কাজের জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া যায়। এভাবেই মাদক, টাকা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র খুঁজতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করে থাকে। পানিতে পড়ে যাওয়া মানুষ উদ্ধারে কাজ করছে ডগ রেস্কিউয়ার। রোগ শনাক্তেও কুকুরের ব্যবহার রয়েছে। তবে ক্ষেপালে কিন্তু এরা যে কাউকে নাজেহাল করে ছাড়ে।
কুকুর ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারে। কখনো এ গতি চিতাকেও হার মানায়। সারা দিন দৌড়ালেও কুকুরকে কখনো ঘামতে দেখা যায় না। কারণ, এদের পায়ের থাবা ছাড়া আর কোন অঙ্গ ঘামে না।
অনেকে কুকুর পুষতে পছন্দ করেন। কুকুরও মনিবের ডাকে তাৎক্ষণিক ছুটে আসে। মনিব বাইরে থেকে ফিরলে তাঁর উপস্থিতি খুব সহজেই টের পায়। আদর করলে অনুভব করে; কখনো প্রতিক্রিয়াও দেয়। যেন কুকুরও প্রেম বোঝে, প্রেমে পড়ে।