বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন চলছে। নানা ধরনের খবর হচ্ছে এ নিয়ে। এর মধ্যে ভোটের কদিন আগের এক রাতে একটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে হওয়া সমঝোতার খবর পৌঁছে গেছে সুদূর মার্কিন মুলুকে। শুধু তাই নয়, সেই খবর এমন একজনের কানে গেছে, যা তার চোখের জল ঝরানোর কারণ হয়েছে!
অতি গোপনসূত্রের খবরে ল-র-ব-য-হ কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের এই খবর পৌঁছে গেছে। আর তা তাঁর কানে ঢোকার পরপরই সেই খবরের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের চোখে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। এতে চোখ দিয়ে ঝরছে অশ্রুধারা। বর্তমানে ট্রাম্পের কাছের লোকজন চোখের এই জল সংরক্ষণের কথা ভাবছেন। কেউ কেউ আরও বলছেন, এই জল জলবায়ুসংকট মেটাতেও ভূমিকা রাখতে পারে!
চলুন, ট্রাম্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানার আগে এ দেশের সেই খবরের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মায়ারামপুর ইউপিতে। সেখানে একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। ভোট যা পড়েছে, সব পেয়েছেন একজন। অন্য ছয়জনের কেউ একটি ভোটও পাননি। সব প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট শূন্য। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন এবং বলতে থাকেন, তাহলে প্রার্থীরা কি নিজের ভোটও নিজেকে দেননি? কিংবা তাঁদের পরিজনেরাও কি ভোট দেননি?
এসব ‘আপত্তিকর’ প্রশ্নের জবাবে বাকি ছয় প্রার্থী বলেছেন, সবাই মিলে একজনকেই জিতিয়ে এনেছেন। তাঁরা নিজের ভোটও নিজেকে দেননি! আর সবাই মিলে একজনকে জেতানোর জন্য ২৮ নভেম্বরের ভোটের দিনের আগে গত ২৫ নভেম্বর স্থানীয় নেতারা সব প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে সবাই মিলে ঐকমত্যে পৌঁছান একজনকে জয়ী করার বিষয়ে। ‘একমত’–এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগও নেই।
আর প্রার্থী নির্বিশেষে সেই ঐকমত্যের প্রভাব দেখা গেছে ভোটের ফলাফলে। সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ১৬৩। ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৫৫টি। বাতিল ৬টি। সেই বৈধ ভোটের সবই পেয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক।
আর এ খবর জানতে পেরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে নাকি হতবাক হয়ে যান। তাঁর মনে পড়ে যায়, কয়েক মাস আগের মার্কিন নির্বাচনের কথা। অতি গুপনসূত্র ল-র-ব-য-হ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছে, এরপরই তিনি হয়ে পড়েন নির্বাক, দুচোখ বেয়ে ঝরতে থাকে ওয়াটার। তিনি বলতে থাকেন, ‘এমনটা কি আমরা করতে পারতাম না? আমরা পারি না। কিন্তু ওঁরা ঠিকই পেরে গেল। এতটা পিছিয়ে থাকলে আমেরিকাকে গ্রেট বানাব কীভাবে?’
এখানে বলে রাখা দরকার, যে সূত্র ট্রাম্পের বক্তব্যের সন্ধান দিয়েছে, তা পুরোপুরি বায়বীয় ও স্বপ্নে পাওয়া। এর আগেও ওই সূত্র চা ও বাটার বনের বিনিময়ে নানা তথ্য দিয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন চা-বন না পেয়ে তার মন খারাপ ছিল। এবার ট্রাম্পের চোখের জল তাকে মুখ খুলতে বাধ্য করেছে।
অতিগোপন সেই সূত্র বলছে, শেষ কথাটি মূলত আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের দাঁড়ানো প্রসঙ্গেই ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন। তিনি নাকি এ নিয়ে বড্ড ‘সিরিয়াস’।
স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার আগে সূত্র মোতাবেক শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ট্রাম্প অবশেষে টিস্যু দিয়ে চোখের জলের ইস্যু চাপা দিয়েছেন। তবে কান্না থেকে পাওয়া শিক্ষা তিনি ভুলে যাননি। দৃপ্তকণ্ঠে ট্রাম্প উচ্চারণ করেছেন, ‘খেলা হবে…।’