হোম > ল–র–ব–য–হ

কতটা ভয়ংকর হতে পারে ছোট্ট প্রাণী মশা

প্রাণী হিসেবে মশাকে পছন্দ করার কোনো কারণ নেই। তবে এটি কতটা ক্ষতিকর কিংবা মানুষের কত বড় শত্রু এটা হয়তো আমাদের অনেকের ধারণাতেই নেই। শুনে অবাক হবেন পৃথিবীতে অন্য যে কোনো প্রাণীর আক্রমণের চেয়ে মশার কারণেই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আজ বিশ্ব মশা দিবসে আকারে খুদে হলেও এটি যে খুব বিপজ্জনক এক প্রাণী তাই তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে থাকছে মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া রোগগুলি সম্পর্কে দুই-চার কথা।

মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, সেটা হলো খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ থেকে দশ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এদিক থেকে এর কাছে ধারে নেই বাঘ, সিংহ, হাতি কিংবা কুমিরের মতো প্রাণীও। ম্যালেরিয়া ছাড়াও ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা ও ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী রোগের বাহক মশা।

ম্যালেরিয়া
মশার কারণে মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ায়। স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে এ রোগ ছড়ায়। সাধারণ কামড়ানোর ১০-১৫ দিন পর এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে আছে জ্বর, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। চিকিৎসা থাকলেও কখনো কখনো প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে রোগটি। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ২৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়।

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস
রোগাক্রান্ত মশার কামড়ে এ রোগ হয় মানুষের। আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণের মধ্যে আছে জ্বর, মাথা ব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া, কাঁপুনি, খিঁচুনি, এবং পেশির দুর্বলতা। আক্রান্তদের শতকরা ৮০ শতাংশেরই কোনো উপসর্গ পাওয়া যায় না। তবে তাতে কী, এটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে কখনো কখনো।

ডেঙ্গু
মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষকে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় রেখেছে ডেঙ্গু। বাংলাদেশের মূলত পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার আক্রমণ হলেও ডেঙ্গুর প্রভাব চোখে পড়ে দেশজুড়েই। অনেক সময় হালকা অসুস্থতার কারণ হলেও ডেঙ্গু গুরুতর হয়ে ওঠে কখনো কখনো। উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, বমির ভাব, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি, তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে এই রোগে। এডিস ইজিপ্টি নামের যে মশা ডেঙ্গু জ্বরের কারণ তাকে কখনো কখনো, ‘মশা সমাজের তেলাপোকা’ বলেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এদের শহুরে পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া এবং মানুষের কাছাকাছি থাকার ক্ষমতা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, তে শুধু ২০২৩ সালেই বাংলাদেশে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ।

জিকা
জিকা ভাইরাসে কখনো কখনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। পেলে পেশি এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা, জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি এবং প্রদাহ হতে পারে। ডেঙ্গুর মতো এডিস মশা জিকা ভাইরাসেরও বাহক।

ইয়েলো ফিভার
মশার কামড়ে হওয়া আরেকটি ভয়াবহ রোগ ইয়েলো ফিভার বা পীতজ্বর। বিশেষ করে সতোরো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু দেখে পৃথিবী এ রোগে। এডিস এবং হিমোগগাস মশার কামড়ে এ রোগ হয়। আফ্রিকা, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এ রোগের প্রভাব দেখা যায়। মাথাব্যথা, জ্বর, পেশি ব্যথা এবং বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ রোগে কারও কারও বেলায় যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জন্ডিস হয়ে যায়। আর এতে শরীরে হলুদাভ ধরাতেই এ রোগের এমন নামকরণ।

চিকনগুনিয়া
মূলত এডিস অ্যাবোপিকটাস বা এশিয়ান টাইগার মসকুইটোর কামড়ে রোগটি হয়। গত কয়েক দশকে এ রোগটি বেশি ছড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও এ রোগটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এডিস ইজিপ্টিও ছড়াতে পারে চিকনগুনিয়া বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়েও কাজ করলেও এখনো এর সত্যিকার অর্থে কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। জ্বরের সঙ্গে হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথাই এই রোগের প্রধান উপসর্গ। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, বমিভাব, শারীরিক দুর্বলতা এসব থাকতে পারে।

সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, হিন্দুস্তান টাইমস

২৩ লাখ টাকার ‘ডিম’ গিলে ফেললেন যুবক, এক সপ্তাহ পর যেভাবে উদ্ধার করল পুলিশ

১৯ হাজার ডলারের ‘ডিম’ গিলে যুবক কারাগারে

জরায়ুহীন হয়ে জন্মেছিলেন, তাঁর হয়ে সন্তান জন্ম দিলেন প্রিয় বন্ধু

বিড়ালের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করল নিউজিল্যান্ড সরকার

৮০টি সেলাই ও ২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বাঁচল একটি কোবরা

দুই টার্কি মুরগিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্ষমা’ করলেন ট্রাম্প

মৃত মায়ের বেশ ধরে তাঁর পেনশনের টাকা তুলছিলেন ছেলে

আদালতে প্রিয় শিল্পীর পরচুলা পরে, গান বাজিয়ে চাকরি হারালেন বিচারক

প্রয়াত মায়ের চিলেকোঠায় পুরোনো কমিক বই, বিক্রি হলো ৯১ লাখ ডলারে

ক্যাটসতাম্বুল: যে শহরে পথের রাজা মানুষ নয়, বিড়াল