হোম > জীবনধারা > সোশ্যাল মিডিয়া

সেলিব্রিটিদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে প্রতারণা, অস্ট্রেলিয়ায় বিজ্ঞাপনে কঠোর নিয়ম করছে মেটা

প্রতারণা বন্ধে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে এই পদক্ষেপ নেয় মেটা। ছবি: নয়বি

অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য কঠোর নিয়ম চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক-মালিক কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্ম। গত সোমবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, সেলিব্রিটিদের ছবি দিয়ে সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রতারণা রোধের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত অক্টোবরে মেটা জানায়, তারা ৮ হাজারটি ‘সেলেব বেইট’ বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলেছে। প্রতারণা বন্ধে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে এই পদক্ষেপ নেয় মেটা। এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলোতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি বা নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এগুলো মূলত প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন।

মেটা জানিয়েছে, এখন থেকে যারা আর্থিক সেবা সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেবেন, তাদের নিজেদের ব্যবসার তথ্য যাচাই করা হবে। এর মধ্যে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপকার পাচ্ছে এবং যারা অর্থ পরিশোধ করছে (পেমেন্টকারী) তাদের তথ্য এবং সেই সঙ্গে তাদের অস্ট্রেলিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লাইসেন্স নম্বরও যাচাই করা হবে। এর পরেই তারা আর্থিক সেবা সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন চালাতে পারবে।

মেটা এএনজে (অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর উইল ইস্টন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আর্থিক বিজ্ঞাপনদাতাদের যাচাইয়ের পদ্ধতি অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের এই জটিল প্রতারণাকারীদের থেকে রক্ষা করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের তথ্য একবার যাচাই হয়ে গেলে, তাদের বিজ্ঞাপনগুলোতে পেমেন্টকারী এবং উপকারভোগীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যা বিজ্ঞাপন অনুমোদনের পরে ‘পেইড ফর বাই’ অংশে দেখানো হবে।

গত মাসে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে ব্যর্থ হলেও অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের বৈশ্বিক আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই আইনটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী একটি বড় নিয়ন্ত্রক উদ্যোগের অংশ ছিল। দেশটির সরকার অভিযোগ করেছিল যে, বিদেশে নিবন্ধিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো, যেমন ফেসবুক বা গুগল, অস্ট্রেলিয়ার দেশের আইন ও নিয়মকানুনকে উপেক্ষা করছে এবং তাদের ওপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। এর উদ্দেশ্য ছিল এসব বিদেশি কোম্পানির ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

এটি এমন একটি সময়ে করা হয়েছে, যখন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচন খুব কাছে, প্রায় এক বছরের মধ্যে হবে। অর্থাৎ, এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং নির্বাচনের আগে দেশটির জনগণের কাছে শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া একটি ঐতিহাসিক আইন অনুমোদন করেছে, যা ১৬ বছরের নিচে শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ফ্রেন্ডকে আড়ালে রাখছেন তরুণীরা, এই প্রবণতার মানে কী

সবচেয়ে প্রভাবশালী ৪ মিডিয়ার লাগাম এখন ৪ শীর্ষ ধনীর হাতে

বিনোদনের জন্য নিজের ডিপফেইক ভিডিও তৈরি করে দেবে ‘সোরা’

ফেসবুকে নতুন ফিচার ‘ফ্যান চ্যালেঞ্জ’, ব্যবহারে যে লাভ

শৈশবের নিজেকে কাছে পেলে কেমন হবে অনুভূতি

বিয়ে করেছেন ‘আংকেল রজার’, কনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবরিনা

তরুণদের মধ্যে নিজস্ব পাঠ্যক্রমে বই পড়ার প্রবণতা বাড়ছে

২০৫০ সাল নাগাদ ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা কেমন হবে, ধারণা দিলেন গবেষকেরা

মার্ক জাকারবার্গ বনাম মার্ক জাকারবার্গ: নাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে আইনি লড়াই

টিকটক মাতাচ্ছেন মার্কিন বাহিনীর তরুণী সেনারা, নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে বিতর্ক