হোম > প্রযুক্তি

আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস

প্রযুক্তি প্রতিবেদক

ঢাকা: আজ ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) বিশ্ব জুড়ে দিবসটি পালন করছে। এই দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়, চ্যালেঞ্জিং সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করা। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ১৯৬৯ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করে আসছে।

আইটিইউ এর ওয়েবসাইট থেকে এই দিবসকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা গেছে। ২০২১ সালে এই প্যানাডেমিকের সময়ে বিশ্বজুড়ে অনেকক্ষেত্রেই মানুষ লকডাউনে ঘরে আবদ্ধ। মানুষের বাইরে যাওয়া অনেকটাই কমে গেছে। ফলে পরিবারের মানুষজন আর বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগের জন্য অন্যতম মাধ্যম হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি ডিজিটাল যোগাযোগকে বেশ ভালোভাবেই ত্বরান্বিত করছে। এই ডিজিটাল যোগাযোগকে আরও সহজ ও উন্নত করা যায় কিভাবে সে বিষয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন। তারা চ্যালেঞ্জিং সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে তারা ২০৩০ সালকে টার্গেট করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন করেছে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাতে এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারে তা দেখাশুনা করবে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সোসাইটি।

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই বিষয়ে সচেতেনতা সৃষ্টির লক্ষে জনসাধারণের মাঝে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে। দেশের সবগুলি মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে এই ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।

প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। তবে বিটিআরসি তাদের ফেসবুক পেজে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেছে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, 'ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবন, কাজ, স্বাস্থ্য ও কোটি মানুষের শিক্ষা বজায় রাখে। কভিড-১৯ মহামারি সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকার ও বিভিন্ন কমিউনিটির জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সহায়তা করেছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সবজায়গার পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে ডিজিটাল প্রযুক্তি'।

বিশ্বের প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। তাদেরকে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপদ যেমন- ঘৃণা ও ভুল তথ্য, সাইবার হামলা এবং শোষণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দিবসটিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, `'আসুন আমরা জনসেবার সকল খাতকে ‘ডিজিটালে রূপান্তর’ করি।

ই–ক্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, 'কভিড–১৯ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে ডিজিটাল যোগাযোগ মানুষের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক মাধ্যম হিসেবে উপস্থিত হয়। এই কঠিন সময়ে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ব্যবসাই করেনি মানুষকে নানাভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই দিবসে মানুষকে সেবাদানকারী সকল ডিজিটালকর্মীকে শুভেচ্ছা জানাই'।

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব