অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এলেও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগের দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি জামাল ভূঁইয়া। গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেই চেষ্টা করেন প্রভাব বিস্তার করার। দলও ৩-১ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্যবধান ৩-৩ করে ফেলে দ্রুত। অথচ তাঁকে শুরুর একাদশেই রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
কোচের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনায় মুখর অনেকেই। জামালসহ শমিত শোম ও ফাহামিদুল ইসলামকেও শুরুর একাদশে রাখেননি তিনি। জামাল নিজেও দাবি করছেন, শুরু থেকে তাঁকে না খেলানোটা ভুল ছিল।
হারের হতাশা মাথায় চেপে আজ হংকং যাচ্ছে বাংলাদেশ। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে জামাল বলেন, ‘আমি যখন না খেলি, সেটা তো ভুল, এটা আমি বলব। আমি তো সব ম্যাচ খেলতে চাই। কিন্তু দিন শেষে কারা খেলবে, এটা কোচের সিদ্ধান্ত। আমি চাই খেলতে।’
ম্যাচের মোড় ঘোরানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন জামাল, ‘আমি, শমিত, ফাহামিদুল, জায়ান যখন একসঙ্গে ওয়ার্মআপ শুরু করেছি, তখন ওদেরকে বলেছি, আমরা যখন নামব, তখন ম্যাচের গতিপথ বদলাতে হবে। আমাদের চারজনের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। চারজনই শুরুর একাদশে খেলতে চাই। সব মিলিয়ে আমরা ভালো খেলেছি।’
বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হংকং। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার প্রবণতা থেকে কবে বেরিয়ে আসবে দল সেই উত্তর জানেন না অধিনায়কও, ‘এই দলের একটা ইতিহাস আছে, আমরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। এই ম্যাচের আগে আমরা আলাপ করেছি, আমাদের পুরো ম্যাচ ফোকাসড থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনেও বলেছি, আমরা যদি জিততে চাই বা পয়েন্ট নিতে চাই, আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। কিন্তু আমরা পারিনি।’
তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সি গ্রুপের তলানিতে আছে বাংলাদেশ। মূল পর্বে যাওয়াটা নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপর। সেই সঙ্গে জিততে হবে ফিরতি লেগে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৪ অক্টোবরের ম্যাচসহ বাকি ৩ ম্যাচও। মনে করিয়ে দিলেন জামাল, ‘আমাদের হাতে তিন ম্যাচ আছে। তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। এক পয়েন্ট হারালেই আমাদের বিদায়।’