জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
মরক্কোর আগাদির শহরের আদরার স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে জিম্বাবুয়ে-মিসর। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসর প্রথমেই গোল হজম করে বসে। পিছিয়ে পড়া মিসর উদ্ধার হয়েছে সালাহর শেষ মুহূর্তের গোলে। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মিসর।
মিসরের বিপক্ষে ২০ মিনিটে গোল করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন প্রিন্স দুবে। সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। বিরতির পর সমতায় ফিরতে মিসরের লেগেছে ১৯ মিনিট। ৬৪ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির সিটি ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ। ম্যাচে অনেকবার গোলের সুযোগ মিস করে মিসর। গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সালাহও। তবে সবকিছু যেন জমিয়ে রেখেছিলেন শেষ মুহূর্তের জন্য। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে মিসরীয় এই ফরোয়ার্ড করেন জয়সূচক গোল। বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে জিম্বাবুয়ের গোলরক্ষক ওয়াশিংটন আরুবিকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ।
মারাক্কেশে ‘বি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অ্যাঙ্গোলা-দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ মিনিটে স্ট্রাইকার অসউইন অ্যাপোলিসের গোলে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরেছে অ্যাঙ্গোলা। ৩৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির মিডফিল্ডার শো। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। ৭৯ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন দলটির স্ট্রাইকার লিল ফস্টার। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লিভারপুলের হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি সালাহ। অলরেড কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সালাহর বিরোধ সৃষ্টি হয়। যদিও সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেটার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের ভেলকিতে মিসরকে জেতানো সালাহ নিশ্চয়ই মিসরের হয়ে প্রথম কোনো শিরোপা জিততে চাইবেন। এর আগে ২০১৭, ২০২১ সালে আফকনের ফাইনালে উঠলেও দুইবারই রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।