টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে একই সঙ্গে ক্রিকেটের এই সংস্করণ ছাড়ার ঘোষণা দেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। কয়েক দিন আগে-পরে এ বছর টেস্ট সংস্করণকে বিদায়ের ঘোষণা দেন তাঁরা। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ার তাঁরা জিইয়ে রেখেছেন এই আশায়—২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেই ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন!
কিন্তু বাস্তবতা রোহিত-কোহলির সে আশা পূরণ হতে দেবে তো? তাঁদের ছাড়াই ‘বাজবল ক্রিকেটে’র দেশে পিছিয়ে পড়েও সিরিজে সাফল্য—এখন এ প্রশ্নই সবার মুখে। এমন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, বোর্ড দুজনের সঙ্গে ‘খোলামেলা ও পেশাদার’ আলোচনা করবে।
মাত্রই শেষ হওয়া অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজে একই গতি ও উদ্যম ধরে রেখে ১১১৩ বল করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। সবচেয়ে সফল পেসারও তিনি। দলের প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, যশস্বী জয়সওয়াল কিংবা বোলিংয়ে আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণারা। উদীয়মান এসব খেলোয়াড়ের মধ্যে কোথায় দাঁড়িয়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররা! বিসিসিআইও এখন এটি দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকায় রোহিত-কোহলির ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
আসছে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলবে ওয়ানডে সিরিজ। নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোমে সিরিজ খেলবে। কিন্তু এই কয়টা সিরিজ খেলাটা ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হবে কি!
পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় চল্লিশ পেরোবেন রোহিত, আটত্রিশে পা রাখবেন কোহলি। তাঁদের ছাড়াই অন্যান্য সংস্করণে দল যখন ভালো করছে, তখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েও তাঁদের দলে না ফেরানোর একটা বাস্তবতা এসে যায়। এ নিয়েই রোহিত ও কোহলির সঙ্গে বসবে বিসিসিআই। নাম প্রকাশ না করে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র পিটিআইকে বলেছে, ‘হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি এখনো দুই বছরের বেশি। কিন্তু আমাদের এখনই পরিকল্পনা করতে হবে; পাশাপাশি কিছু তরুণ খেলোয়াড়কেও দেখে নেওয়া দরকার।’
এরপরই ওই কর্মকর্তা রোহিত-কোহলির সঙ্গে খোলামেলা ও পেশাদার আলোচনার কথা বললেন, ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত-কোহলির বড় অবদান। অনেক অর্জন তাঁদের। তাই তাঁদের কিছু জোর করে বলা হবে না। তবে নতুন ওয়ানডে চক্র শুরুর আগে তাঁদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু খোলামেলা ও পেশাদার আলোচনা হবে।