মিরপুরে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যেন চোখে সর্ষেফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ১১৭ বল পর্যন্ত খেললেও স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি সফরকারীরা।
পাকিস্তানের ১০ উইকেটের মধ্যে গতকাল অর্ধেক উইকেট তাসকিন আর মোস্তাফিজ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। যার মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। যেখানে মোস্তাফিজ তাঁর স্লোয়ার-কাটারে পাকিস্তানি ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন। ৪ ওভারে খরচ করেন ৬ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড এটাই। তাসকিনেরও নাম উঠেছে রেকর্ড বইয়ে। বাংলাদেশের সপ্তম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১৭৩ ম্যাচ খেলে তাসকিন নিয়েছেন ২৫১ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী সাকিব আল হাসানের উইকেট ৭১২। এই তালিকায় দুই ও তিনে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোস্তাফিজের উইকেট ৩৮৯ ও ৩৪৪। এখানে সাকিব অনেকটা এগিয়ে থাকলেও আরেক রেকর্ডে তাঁর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন মোস্তাফিজ। মিরপুরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে সাকিব-মোস্তাফিজ। সাকিবের অনুপস্থিতিতে এবারের পাকিস্তান সিরিজেই মোস্তাফিজ রেকর্ডটা নিজের করে ফেলতে পারবেন।
৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। মিরপুরে পরের দুই টি-টোয়েন্টি হবে আগামীকাল ও বৃহস্পতিবার। এবার সিরিজ জিতলে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য এক ম্যাচের সিরিজ ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১০ উইকেটশিকারী বোলার
সাকিব আল হাসান ৭১২
মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩৮৯
মোস্তাফিজুর রহমান ৩৪৪
মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৩৬
আবদুর রাজ্জাক ২৭৯
তাইজুল ইসলাম ২৬৯
তাসকিন আহমেদ ২৫১
মোহাম্মদ রফিক ২২০
রুবেল হোসেন ১৯৩
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬৬