শেষ ওয়ানডেটা দুই দলের জন্য ছিল দুই রকমের। আগেই সিরিজ জেতায় কিউইদের জন্য ম্যাচটি শুধু আনুষ্ঠানিকতার হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল মান বাঁচানো ও ধবলধোলাই এড়ানোর মিশন। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনার জয় পায়নি ইংলিশরা।
শেষ ম্যাচে তাঁদের ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের দলকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ইউরোপের দলটিকে দ্বিতীয়বারের মতো ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল তারা। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮২-৮৩ সালে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল দলটি।
ওয়েলিংটনের রিজিওনাল স্টেডিয়ামে ব্লেয়ার টিকনার, জ্যাকব ডাফিদের বোলিং তোপে পড়ে লড়াইয়ের পুঁজিই পায়নি ইংল্যান্ড। ৪০.২ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয় তারা। সফরকারীদের প্রথম সারির ৫ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ রান করেন জ্যাকব বেথেল। অন্যরা আটকে যান এক অঙ্কের ঘরে। শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতার পর জেমি ওভারটনের ফিফটি ও জস বাটলার ও ব্রাইডন কার্সের দুটি মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দলটি।
৬২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ওভারটন। ৩৮ রান আসে বাটলারের ব্যাট থেকে। ৩৬ রান করেন কার্স। জোফরা আর্চার এনে দেন ১৬ রান। ৪ উইকেট নেন টিকনার। ৬৪ রান খরচ করেন এই পেসার। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন ডাফি। জাকারি ফোকসের শিকার দুটি।
জবাব দিতে নেমে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের কোটায় যাওয়ার আগেই ৮ উইকেটের দলে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হতে হয়নি তাদের। ৪৬ রান করেন রবীন্দ্র।
৪৪ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। ৩৪ রান করেন কনওয়ে। শেষ দিকে হারের শঙ্কা জাগলেও ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ফোকস ও টিকনার। এই দুজন ১৪ ও ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ওভারটন ও স্যাম কারান দুটি করে উইকেট নেন।