প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) খেলতে এসে কিছুতেই জয়ের দেখা পাচ্ছিল না ময়মনসিংহ। প্রথম তিন ম্যাচ ড্র করে শুভাগত হোম চৌধুরীর দল। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে অপেক্ষা ফুরাল তাঁদের। আসাদুল্লাহ হিল গালিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চট্টগ্রামকে ২৫১ রানে হারিয়েছে ময়মনসিংহ।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহের দেওয়া ৩১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে শামিম হোসেন পাটোয়ারি ১৩, শাহাদাত হোসেন দীপু ১১ ও ইরফান শুক্কুর করেন ১০ রান। ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনে ধস নামান গালিব। ৩ উইকেট নিয়ে এই পেসারকে সঙ্গ দেন শুভাগত। দ্বিতীয় ইনিংসে ময়মনসিংহের বিপক্ষে ৭৩ রানে ৬ উইকেট নেন আশরাফুল হাসান। তার পারফরম্যান্স বৃথা গেল।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষেই বরিশালের বিপক্ষে জয়ের ভীত গড়েছিল রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণের দলটিকে ১৪১ রানে অলআউট করলে তানভীর হায়দারের দলের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৬ রানের। ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। রান তাড়ায় ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর। ৮০ রান আসে মিমের ব্যাট থেকে। নবিন ইসলাম করেন ৪২ রান।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিন শেষে খুলনার বিপক্ষে ৪৮ রানে এগিয়ে আছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। জবাবে ৩০৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। শাহানুর রহমান ২৭ ও তানজিম হাসান সাকিব ১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ড্রয়ের পথে আছে ঢাকা ও রাজশাহীর ম্যাচ। স্বাগতিকদের করা ২৯৮ রানের জবাবে ৩৮২ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। সঙ্গী না থাকায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ঢাকার তাইবুর রহমান। ৮৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করেছে রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে ৬৭ রানের লিড পেয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের দল। তানজিদ হাসান তামিম ৮৪ ও প্রীতম কুমার ৪০ রানে অপরাজিত আছেন।