চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা করেছিলেন ‘আত্মহত্যা’। আজ তৃতীয় দিনের সকালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর ১৬ বল পরই থেমে গিয়েছিল বৃষ্টির বাগড়ায়। খেলা অবশ্য বন্ধ ছিল ২০ মিনিট। এরপর দীর্ঘক্ষণ খেলা স্বাভাবিকভাবে চললেও প্রথম সেশনের শেষভাগে এসে আবার হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তখনই ঘোষণা করা হয় লাঞ্চ। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত ১১৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০৮ রান করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের তুলনায় প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকেরা এগিয়ে ১৭৭ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ২৪ রানে পিছিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তানজিম হাসান সাকিব।
প্রথম ইনিংসে ৮৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩০০ পেরিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হলে সাবলীলভাবে এগোতে থাকেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ৯৭তম ওভারের পঞ্চম বলে তাইজুলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা। তাইজুল কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে মাসেকেসার ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হয়েছেন। বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন জিম্বাবুয়ে উইকেটরক্ষক তাফাদজোয়া সিগা। তাতে ভেঙে যায় অষ্টম উইকেটে মিরাজ-তাইজুলের ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি।
তাইজুল ফেরার পর ব্যাটিংয়ে নামেন তানজিম সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই টেস্টে অভিষেক হয়েছে তানজিম সাকিবের। বোলিংয়ের পাশাপাশি টুকটাক ব্যাটিংটা যে পারেন, সেটা আবারও দেখিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। মিরাজের সঙ্গে এরই মধ্যে নবম উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন তানজিম সাকিব। এই জুটি খেলেছেন ১০৩ বল। মিরাজ ৭৬ রানে অপরাজিত। ১০৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০টি চার। আর তানজিম সাকিব ৫৭ বলে ১ ছক্কায় ২৯ রান করেছেন।