বিতর্কিত এক আউটে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম আলোচিত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগে সেঞ্চুরির মেলার দিনে মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন কি হননি, সেই ঘটনার রেশ থেকে গেছে ম্যাচ শেষেও। রনি তালুকদার উত্তর দিয়েছেন কৌশলে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম ইকবাল-মুশফিকদের প্রাইম ব্যাংক আজ মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। এই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি এবং এআইএম মনিরুজ্জামান। মোহামেডানের দেওয়া ৩১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিল প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ঘটেছে ম্যাচের আলোচিত ঘটনা। ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে নাঈম হাসানকে তুলে মারতে যান মুশফিক। ওয়াইড লং অন এলাকায় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন আবু হায়দার রনি। পরে দেখা যায়, ডাইভ দিয়ে ওঠার সময় বাউন্ডারি সীমানায় রনির পা লেগে যায়। ছক্কা না আউট—এই সমস্যার সমাধান করতেই খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। ১২ বলে ১০ রান করা মুশফিককে আউট ঘোষণা করা হয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার। ১৩১ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১৪১ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের রনি বলেন, ‘সেটা তো রনিই ভালো জানে। ক্যাচটা নিয়েছে রনি। রনির ওপরই নির্ভর করছে। সে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তার ওপরই নির্ভর করবে। কারণ, এখানে ক্যামেরা তো ওইভাবে ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা দেখতে পারতেন। এটা খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েই যায়।’
রনির মতে, আম্পায়ারদেরই সবকিছু ভালো জানার কথা। মোহামেডানের ব্যাটার বলেন, ‘সেটা আম্পায়ার জানে। মাঠে আম্পায়ার ছিলেন। তারা ভালোই জানেন। কারণ বললামই তো, রনি যেটা বলবে, সেটাই হবে।’
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া মোহামেডান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ৩১৭ রান। রান তাড়া করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের সর্বোচ্চ স্কোরার শেখ মেহেদী হাসান। ৪৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি। মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার, মুশফিক হাসান ও নাসুম আহমেদ।