চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সোহাগ গাজী ও প্রীতম কুমার। ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছালেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি তাঁদের কেউ। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডে নিজ নিজ ম্যাচে হেরেছে রাজশাহী ও বরিশাল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনেই রাজশাহীর হারের শঙ্কা তৈরি করে হয়। প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৬ রান তোলে সফরকারী দল। ১৪৩ রান করেন প্রীতম। ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন এসএম মেহরব। ৩৮ রানের মামুলি লক্ষ্য দাঁড়ায় সিলেটের সামনে। জবাব দিতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা। জাকির হাসান ২০ ও মুবিন আহমেদ দিশান ১৩ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানে থামে রাজশাহী। জবাবে অমিত হাসানের ডাবল সেঞ্চুরি ও আসাদুল্লা আল গালিবের সেঞ্চুরিতে ৫৩৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। অমিতের অবদান ২১৩ রান। অল্পের জন্য দ্বিশতকের দেখা পাননি গালিব। ১৮০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে বরিশালকে ৩৮০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ময়মনসিংহ। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বরিশাল। শেষদিনে ৬ উইকেট হাতে রেখে আরও ২৭২ রান করতে হতো তাদের। সোহাগের সেঞ্চুরি ও জাহিদুজ্জামান খানের ফিফটির পরও এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি বরিশাল। ৩১৬ রানে অলআউট হয়েছে তারা। ১০২ রান করেন সোহাগ। জাহিদুজ্জামান এনে দেন ৮০ রান।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ঢাকার সঙ্গে স্বাগতিকেদের ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ রানে ৬ উইকেট হারায় অতিথিরা। ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন রায়ান রাফসান রহমান। মূলত সৌম্য সরকার ও ইমরুনুজ্জামানের ব্যাটে হারের শঙ্কা এড়িয়েছে খুলনা। ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই দুজনের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮০ রান তোলে তারা। ইমরানুজ্জামান ৬৬ ও সৌম্য করেন ৫৫ রান।