আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ২ ম্যাচে বল হাতে সেরাটা দিয়েছেন মোস্তাফিজু রহমান। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন এই বাঁ হাতি পেসার। এদিন রান বিলিয়েছেন উদার হস্তে। মোস্তাফিজ বল হাতে খরুচে থাকলেও বিপদে পড়তে হয়নি দুবাই ক্যাপিটালসকে। আবুধাবি নাইট রাইডার্সকে ৯ রানে হারিয়েছে তারা।
এ নিয়ে টানা ২ ম্যাচে নাইট রাইডার্সকে হারাল দুবাই। গত ৭ ডিসেম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ৮৩ রানে হারিয়েছিল তারা। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯৬ রান তোলে দুবাই। জবাবে ১৮৭ রানে থামে নাইট রাইডার্সের ইনিংস। আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারের ব্যাটে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি দলটি। তাঁদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরও শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নাইট রাইডার্স।
শেষ পর্যন্ত দুবাই হারলে দায় পড়তো মোস্তাফিজের কাঁধে। ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন কাটার মাস্টার। দুই স্পেলে দুই রকমের বোলিং করেছেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে দেন ১৪ রান। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে এসে ভেড়ক পিটুনি খান মোস্তাফিজ। ১৬ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে খরচ করেন ১৮ রান। ১৮ তম ওভারে দেন ১৫ রান। সে ওভারে হোল্ডারকে বিদায় করেন। ম্যাচে এটা মোস্তাফিজের একমাত্র উইকেট। ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২২ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। নাইট রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন রাসেল। সমান চারটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো তাঁর ১৬০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস।
দুবাইয়ে হয়ে বল হাতে সবচেয়ে বেশি হিসেবি ছিলেন মোহাম্মদ নবি। ৩ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট নেন আফগান তারকা। এর আগে শায়ান জাহাঙ্গীরের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পায় দুবাই। ৫৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ রান করেন এই ব্যাটার। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। নাইট রাইডার্সের হয়ে হোল্ডার ও রাসেল দুটি করে উইকেট নেন।