অনেকের হয়তো মনে হতে পারে গ্লেন ম্যাকগ্রার হঠাৎ সহিংস হয়ে ওঠার কারণ কী। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। রাগ থেকে নয় বরং মজা করেই চেয়ার ছুড়ে মারতে গিয়েছিলেন তিনি।
অ্যাডিলেডে চলমান অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে ধারাভাষ্যকারের কাজ করছেন ম্যাকগ্রা। আজ দ্বিতীয় দিনে নিজের চোখের সামনে দেখলেন কীভাবে তাঁর রেকর্ড ভেঙে গেল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের দশম ওভারের খেলা চলছে। সেই ওভারের তৃতীয় বলে ওলি পোপকে ফিরিয়ে ম্যাকগ্রার পাশে বসেন লায়ন। ম্যাকগ্রাকে টপকে যাওয়া লায়নের জন্য ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যাকগ্রাও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁর রেকর্ডটা কখন ভেঙে যায়। সেই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করে লায়ন ছাড়িয়ে যান ম্যাকগ্রাকে। ধারাভাষ্যকক্ষে ম্যাকগ্রা এটা দেখার পর হো হো করে হাসতে থাকেন। আনন্দের আতিশয্যে একটা চেয়ার তুলে সেটা ছুড়ে মারতে গিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে গিয়ে কী মনে করে যেন থেমে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বোলিং কিংবদন্তি।
লায়ন যে বলে ম্যাকগ্রার রেকর্ড ভেঙেছেন, সেটা অসাধারণ। দশম ওভারের শেষ বলটা মিডল স্টাম্প করিডরে করলেন লায়ন। ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার ডাকেট সেটা সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে যান। লায়নের বল একটু টার্ন নিয়ে অফ স্টাম্পে আঘাত হানে। ৩০ বলে ৫ চারে ২৯ রান করেন ডাকেট। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা ডাকেটকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫৬৪তম উইকেট নিলেন লায়ন। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এখন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ ৭০৮ উইকেট নিয়েছেন। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ম্যাকগ্রা পেয়েছেন ৫৬৩ উইকেট।
লায়নের নতুন রেকর্ড গড়ার দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে আজ তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা ইংল্যান্ড শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২১৩ রানে। নবম উইকেটে ৮৪ বলে ৪৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন স্টোকস-আর্চার। ছয় নম্বরে নামা স্টোকস ১৫১ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত। আর্চার ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন। এরই মধ্যে তিনি ৪৮ বল খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রানে গুটিয়ে গেছে।