সিলেটের বিপক্ষে আগের রাউন্ডেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় জিল্লুর রহমান বিজয়ের। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন চট্টগ্রামের এই ব্যাটার। বিজয়ের শতকের দিনে অপেক্ষায় আছেন আবু হায়দার রনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম দিন ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন এই দুজন।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ২৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ১০৫ রান করে অপরাজিত আছেন বিজয়। ১০ চারে সাজানো তাঁর ১৮৮ বলের ইনিংস। ইয়াসির আলী চৌধুরীর অবদান ৭৭ রান। ২২ রান করেন জসিম উদ্দিন। ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন রবিউল হক।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি ঘরানায় ব্যাট করেছেন আবু হায়দার। ৬৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন ময়মনসিংহের এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তাঁর সঙ্গে ৭০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন আল আমিন জুনিয়র। ৪৮ রান আসে আরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে। প্রথম দিনের খেলা শেষে ময়মনসিংহের স্কোরবোর্ডে উঠেছে ২৮০ রান। ৬ উইকেট হারিয়েছে নবাগত দলটি। এর মধ্যে তিনটাই নেন তানভীর ইসলাম; ৯১ রানের বিনিময়ে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট ও রাজশাহীর লড়াইয়ে প্রথম দিন ১২ উইকেটের পতন হয়েছে। এস এম মেহরব হাসান ও মো. রহিম আহমেদের ফিফটিতে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৬ রান করে সফরকারী দল। ৫৬ রান আসে মেহরবের ব্যাট থেকে। রহিম করেন ৫১ রান। ৪২ রানের বিনিময়ে ৪ ব্যাটারকে ফেরান নাবিল সামাদ। জবাব দিতে নেমে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে সিলেট। জাকির হাসান ১৭ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব ২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন।
ব্যাটিংয়ে প্রথম দিনটা সবচেয়ে বাজে গেছে খুলনার। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৪ রান এনে দেন শেখ পাভিজ জীবন। সুমন খান ও মাহফুজুর রাব্বি নেন তিনটি করে উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় ৬৪ রানে ১ উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন আনিসুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ফয়সাল আহমেদ রায়হান ১৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন।