দুটি ‘লো স্কোরিং থ্রিলার’ দিয়ে বাংলাদেশের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যেমনই খেলুক, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না।
এবারের বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ মিলে শান্ত করেন ২১ রান। স্ট্রাইকরেট ৫৮.৩৩ ও গড় ১০.৫। তাঁর আউট হওয়ার ধরনও দৃষ্টিকটু। নিউইয়র্কের বধ্যভূমিতে ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ যখন সংগ্রাম করছিল, সে সময় পুল করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়েছেন শান্ত। একটি ছক্কা মারলেও ২৩ বলে করেন ১৪ রান। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরেও আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষে বাংলাদেশ দল এবার পাড়ি জমিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৮টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ওপর শান্ত-সাকিব আল হাসানদের সুপার এইট অনেকাংশে নির্ভর করছে। ডাচ ম্যাচের আগে গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে কেন এমন পারফরম্যান্স, সেই প্রশ্ন এলে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই ব্যাটিং ভালো হয়নি। রান করতে হবে। বাড়তি চাপ অনুভব করছি না। ভালো শুরু পেলে চেষ্টা করব লম্বা করার। এমন নয় যে অধিনায়ক দেখে প্রতিদিনই ভালো খেলতে হবে, এমনও অনুভব করছি না। তবে ব্যাটার হিসেবে দায়িত্ব আছে যে কতটা অবদান রাখতে পারি।’
চলমান বিশ্বকাপে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মেরেছেন হৃদয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও দারুণ ইনিংস খেলেছেন হৃদয়। এমনকি প্রোটিয়াদের কাছে ৪ রানে হারের পর নিজের আউট হওয়াকেই দায়ী করেছেন তিনি। হৃদয়ের প্রসঙ্গ এলে শান্ত বলেন, ‘সে উপলব্ধি করেছে, তার খেলা শেষ করে আসা দরকার ছিল। সে যে এটা উপলব্ধি করেছে, এটা আমাদের দলের জন্য ভালো। বাকি খেলোয়াড়দের জন্যও ভালো যে তারা ভাবছে, সেট হয়ে গেলে ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে।’