হোম > খেলা > ক্রিকেট

বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ভরাডুবির কথা আবারও মনে করালেন তিনি

ক্রীড়া ডেস্ক    

পাকিস্তানকে গত বছর টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

একের পর এক ব্যর্থতার গল্প লিখে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। অধিনায়ক, কোচ বদলালেও দলের পারফরম্যান্সে উন্নতি নেই খুব একটা। কদিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল ছয়-সাত মাসের পুরোনো এক ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাঠে ২০০১ থেকে শুরু করে কোনো সংস্করণেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিততে পারেনি ২৩ বছর। সেই অচলায়তন বাংলাদেশ ভেঙেছে গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। তখন ২-০ ব্যবধানে পাকিস্তানকে টেস্টে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে রানের পাহাড় গড়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহর মতো বোলারকেও তখন নির্বিষ লেগেছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এবার নিউজিল্যান্ড, ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ধবলধোলাইয়ের প্রসঙ্গ টেনে আকমল বলেন, ‘কেউ কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের মতো দল কীভাবে আমাদের ধবলধোলাই করে? সভাপতির এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজেও রানার্সআপ হয়েছে পাকিস্তান। রিজওয়ান-বাবর আজমদের দল ফাইনালসহ দুই ম্যাচ হেরেছিল কিউইদের কাছে। এছাড়া ২০২৩-২৫ চক্রের পয়েন্ট টেবিলে ৯ দলের মধ্যে ৯ নম্বরে থেকে পাকিস্তান শেষ করেছে। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ পাকিস্তানকে নিয়ে তোপ দেগেছেন আকমল। সাবেক পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘যখন আপনি জিততে শুরু করবেন ও ভালো ক্রিকেট খেলবেন, তখনই খ্যাতি বাড়বে। যদি শুধুই নিজের জন্য খেলেন, কোনো সম্মান পাবেন না। ক্রিকেটার, পাকিস্তান, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কেউই না।’

আইসিসির সবশেষ তিনটি সাদা বলের টুর্নামেন্টে পাকিস্তান বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—তিন বারই পাকিস্তান সেমির আগেই বিদায় নিয়েছে। বৈশ্বিক মঞ্চে পাকিস্তানের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে আকমল বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্টে সেমিফাইনাল খেলা তো দরকার ছিল। আপনি গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গেছেন। কোচ, অধিনায়ক অথবা নির্বাচক কমিটি কি জিজ্ঞেস করেছিল ক্রিকেট কীভাবে চলছে? কোনো জবাবদিহিতা না থাকলে ক্রিকেটের উন্নতি কীভাবে হবে? এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। জিতলেই আমরা সম্মান পাব।’

৯ মার্চ ভারত-নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল শেষে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি রজার বিনি, বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) পরিচালক রজার টুজ ছিলেন। কিন্তু যে পাকিস্তান টুর্নামেন্টের আয়োজক, তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি দুবাইয়ে যাননি ফাইনালের দিন। পিসিবি প্রতিনিধি হিসেবে সুমাইর আহমেদকে পাঠালেও তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পাকিস্তান অংশের জন্য ছিলেন।

টুর্নামেন্টের ফাইনালে পিসিবির কেউ না থাকায় সামাজিক মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝেরেছিলেন শোয়েব আখতার। শোয়েবের সুরে আকমল বলেন, ‘আইসিসি আমাদের আয়না দেখিয়েছে। পিসিবির কোনো কর্মকর্তা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ছিলেন না। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। তারা আইপিএল ম্যাচের মতো করে আয়োজন করেছে।’

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

সেই দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘বিশেষ ব্যবস্থা’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক বদলাল শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কী হবে

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া