ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে কোনো রকমে হার এড়িয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচে সাইফ হাসান-আফিফ হোসেনরা ছিলেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। প্রথম ইনিংসে ৭১ বলে ৯৫ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন সাইফ। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪৫ রান। ব্যক্তিগত কিছু ঝলক দেখা গেলেও আদতে দল হিসেবে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ার পর বৃষ্টি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে না দিলেও হেরে ম্যাচটা স্বাগতিকদের শেষ করা লাগত।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স শিষ্যদের কাছ থেকে এমন মারকাটারি ব্যাটিং দেখতে চান না। আগামীকাল দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের আগে আজ সিলেটে সিডন্স সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সবাই সম্প্রতি অনেক সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে, এ জন্য এখানে নেমেও তারা অনেক বেশি শট খেলেছে। ব্যাটাররা অতিরিক্ত শট খেলেছে, বোলাররা ঠিক জায়গায় খুব বেশি বল রাখতে পারেনি। যদিও পেস বোলাররা কিছুটা ভালো করেছে। সাদা বলের ক্রিকেট খেলে মাত্র দুই দিনের অনুশীলনের পর নামা খুব কঠিন।’
লাল বলের ক্রিকেটে দ্রুত রানের চেয়ে ব্যাটারদের উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিডন্স। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি রক্ষণটা আরেকটু ভালো করি, আরেকটু ধৈর্য দেখাতে পারি তাহলে ভালো, আমি এটা দেখতে চাই। আমি চাই না কেউ ঝড় গতির ২০-৩০ রান করুক, ক্যামিও ইনিংস দেখতে চাই না। আমরা চাই ব্যাটাররা দিনভর ব্যাট করবে, পরদিন আবার নামবে।’
তবে প্রথম ম্যাচে মুশফিক হাসান ও রেজাউর রহমান রাজাদের পারফরম্যান্সে খুশি সিডন্স। পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘আমি পেস বোলারদের নিয়ে খুবই খুশি। তারা ঠিক জায়গায় বল করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা উইকেট পায়নি। কিছু এলবিডব্লিউর আবেদন ছিল, যেগুলো পক্ষে যেতে পারত। তবে তারা ব্যাটারদের চাপে রেখেছে, ভালো জায়গায় বল করে গেছে।’