প্রথম ইনিংসের ১৪৫ রানের লিডই সিলেটকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে আশানুরূপ স্কোর করতে পারেনি। তবু ৩৫২ রানের যে লক্ষ্য সিলেট ছুঁড়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের সামনে, সেটাই যথেষ্ট হয়েছে। জাকির হাসানের নেতৃত্বাধীন সিলেট পেয়েছে ১৪৭ রানের জয়।
প্রথম ইনিংসের ১৪৫ রানের লিডই সিলেটকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে আশানুরূপ স্কোর করতে পারেনি। তবু ৩৫২ রানের যে লক্ষ্য সিলেট ছুঁড়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের সামনে, সেটাই যথেষ্ট হয়েছে। জাকির হাসানের নেতৃত্বাধীন সিলেট পেয়েছে ১৪৭ রানের জয়।
সিলেট-চট্টগ্রাম ম্যাচের মতো তিন দিনে ফল এসেছে রংপুর-রাজশাহীর ম্যাচেও। রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। রংপুরের ৫ উইকেটের জয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। রাজশাহীর বিপক্ষে ৮ উইকেট নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর উইকেট এখন ১০১।
এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খুলনা-ময়মন সিংহ ম্যাচে হচ্ছে রানের বন্যা। সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ারসেরা ১৮৬ রানের ইনিংসে প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। ময়মনসিংহের এখনো প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়নি। চতুর্থ দিনে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ঢাকা-বরিশাল ম্যাচেরও দিকে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে সিলেট। কিন্তু ১৪ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় জাকির হাসানের নেতৃত্বাধীন দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন জাকির। উইকেটরক্ষক অমিত হাসান করেন ৮৮ রান।
১৪৫ রানের লিডসহ সিলেটের স্কোর হয়েছে ৩৫২ রান। ৩৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে চট্টগ্রাম গুটিয়ে গেছে ২০৫ রানে। অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দীপুর ৬২ রান ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। ১১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সিলেটের আবু জায়েদ রাহী। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১২ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে রাজশাহী। তবে রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। দুই অঙ্ক পেরিয়েছেন চার ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন অধিনায়ক সাব্বির হোসেন। আরেক ওপেনার নাঈম আহমেদ করেন ৩২ রান। সাঞ্জামুল ইসলাম ও সাব্বির রহমান করেছেন ২০ ও ১৩ রান। রংপুরের মেহেদী হাসান নিয়েছেন ৪ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুগ্ধ ও রবিউল হক।
মাত্র ১০ রানের লিড পাওয়ায় রাজশাহীর রান হয়েছে ১২৯ রান। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুর হারিয়েছে ৫ উইকেট। রংপুরের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুগ্ধ। এই ম্যাচে ৭১ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেট। যার মধ্যে ৫ উইকেট পেয়েছেন প্রথম ইনিংসে। এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে কোনো রান লিড না নিয়েই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ময়মনসিংহ। খুলনার ৩৮৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ময়মনসিংহ ৭ উইকেটে ৩৮৭ রান করেছে। সর্বোচ্চ ৮১ রান করেছেন আজিজুল হাকিম তামিম। নাঈম শেখ, আবদুল মাজিদ দুজনেই করেছেন ৫৭ রান। ৬২ ও ৫৯ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ আল আমিন জুনিয়র ও আরিফ আহমেদ।
বরিশালের বিপক্ষে ঢাকা ৫৬ রানের লিড নিলেও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। কক্সবাজারে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১২৪ রান করেছে ঢাকা। আশিকুর রহমান শিবলি ও সুমন খান ২৫ ও ১৫ রানে আগামীকাল শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামবেন। এর আগে ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে গুটিয়ে গেছে। বরিশাল এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৪১ রানে অলআউট হয়েছে।