প্রথম দিন তুলনামূলক বেশি দাপট ছিল বোলারদের। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনটা বলতে গেলে সমানে সমান দাপট দেখাল বোলার এবং ব্যাটাররা। এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অমিত হাসান ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষেই ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে রংপুর। বন্দর নগরীর দলটির করা ৩৫০ রানের জবাবে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৪৬ রান করেন তানভীর হায়দার। আবু হাশিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন মাহমুদ। ফলোঅনে পড়ে ফের ব্যাট করতে নেমেছে রংপুর। বিনা উইকেটে ৪ রান করেছে উত্তরের দলটি। ইনিংস হার এড়াতে আরও ২২০ রান করতে হবে রংপুরকে।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়েছে ময়মনসিংহ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯৭ রান করে ফেরেন আবু হায়দার রনি। ৭৪ রান আসে আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। আজ ময়মসিংহের পতন হওয়া বাকি চারটি উইকেটই নেন রুয়েল। সব মিলিয় ৫ উইকেট নেওয়ার পথে ৭৫ রান খরচ করেন তিনি।
জবাবে ২১৭ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। রনির মতো সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ব্যক্তিগত ৯২ রানে শুভাগত হোম চৌধুরীর শিকার হয়ে সাজঘরে হাঁটেন তিনি। ২৬ রান করেন সোহাগ গাজী। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ময়মনসিংহের সংগ্রহ ৯ রান। ১৪৬ রানের লিড পেয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গালিব ও অমিতের জোড়া শতকে রাজশাহীর করা ২৩৬ রানের ভালোই জবাব দিচ্ছে সিলেট। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৭০ রান তোলেছে স্বাগতিকরা। অমিত ১৭২ ও গালিব ১১১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন। প্রতিপক্ষের বোলাররা অতিমানবীয় কিছু করতে না পারলে বিশাল সংগ্রহের অপেক্ষায় আছে সিলেট।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকেদের করা ১৯৪ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২৩৫ রান করেছে ঢাকা। ৭৭ রান করেন ফয়সাল আহমেদ। জিসান আলমের অবদান ৫৭ রান। আনিসুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ৪১ রানে এগিয়ে আছে সফরকারী দল। হাতে থাকা বাকি ৫ উইকেট নিয়ে লিড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তাদের সামনে।