রোমারিও শেফার্ডের করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে জেসন হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। প্যাভিলিয়নে হাঁটার সময় তাঁর নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ৮৯ রানের ইনিংস। তামিমের এই ইনিংস দেখে অবশ্য বাংলাদেশের দলগত সংগ্রহ নিয়ে খুশি হওয়ার উপায় নেই।
তামিম ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেললেও বাকিরা হতাশ করেছেন। বাংলাদেশও পায়নি বড় পুঁজি। স্কোরবোর্ডে ১৫১ রান তুলেছে লিটন দাসের দল। হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। ১৭তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান এই পেসার। এরপর শেষ ওভারে তামিমের পর তাঁর শিকারে পরিণত হন শরিফুল ইসলাম।
শেফার্ডের হ্যাটট্রিকের দিনে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল সাদামাটা। দলীয় ৪৪ রানে পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়কের বিদায়ের পর সাইফ হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। ১৫তম ওভারে হোল্ডারের শিকার হয়ে সাইফ ফেরার আগে তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় ৬৩ রান। ২৩ রান করেন এই ব্যাটার। মূলত এই জুটিতে ভর করেই মাঝারি মানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সাইফ ফেরার পর আর যোগ্য সঙ্গ পাননি তামিম।
এই বাঁ হাতি ব্যাটারকে রেখে একে একে বিদায় নেন রিশাদ হোসেন, সোহান, নাসুম আহমেদ, জাকের আলী অনিকরা। সঙ্গী না পেলেও একপ্রান্তে ব্যাট চালিয়ে যান তামিম। তাঁর শুরুটা ছিল ওয়ানডে মেজাজি। প্রথম ২৯ বলে করেন ৩০। খোলস পাল্টে পরের ৩৩ বলে ৫৯ রান এনে দেন। ৯ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো তাঁর ৬২ বলের ইনিংস।
তামিম ও সাইফ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার এদিন দশকের ঘরে পা রাখতে পারেননি। হ্যাটট্রিক করার পথে ৩৬ রান দেন শেফার্ড। দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও পিয়েরে।