সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল রাত সাড়ে ৮টায় ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে যেকোনো বিচারেই লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে সূর্যকুমার যাদবের। সেটা নিয়ে ভাবনা নেই ফিল সিমন্সের। ভারতের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
এশিয়া কাপের হট ফেভারিট ভারত। গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তানের পর ওমানকে হারায় তারা। সুপার ফোরেও দাপট অব্যাহত আছে তাদের। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পথ মসৃণ করে রেখেছ ভারত। শুধু এবারের এশিয়া কাপই নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিসংখ্যানও কথা বলছে তাদের হয়েই।
অতীতে যা হয়েছে সেদিকে অবশ্য তাকাতে চান না সিমন্স। সংবাদ সম্মেলেন বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে বিশ্বাস থাকা উচিত। আজ আমরা বসে বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেছি। ভারতকে হারাতে পারব, আমাদের সেই সুযোগ আছে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর আমরা বিরতি পেয়েছি। আমাদের সেই বিরতির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ভারতের বিপক্ষে আমাদের জয়ের সুযোগ আছে।’
সিমন্সের মতে, নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভারতকে হারানো কঠিন হবে না। দুবাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা আছে। এটা নির্দিষ্ট একটি ম্যাচ। ভারত আগে হারেনি বিষয়টি এমন নয়। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটই খেলার চেষ্টা করব এবং ভারতকে কীভাবে ভুল করানো যায় সেদিকে খেয়াল রাখব। এভাবেই আমাদের জিততে হবে।’
এ বছরের মে মাসে লিটন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন আনুষ্ঠানিকভাবে। তাঁর নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এরপর লিটন-তানজিদ হাসান তামিমরা লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিলেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার শুরু শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ জেতে তাদের মাঠেই। সেই ধারাবাহিকতায় লিটনরা সিরিজ জেতেন পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ খেলতে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মরুর বুকে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছেন লিটন-হৃদয়রা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে সিমন্স বলেন, ‘অবশ্যই ভালো হচ্ছে (টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স)। অধিনায়ক এখানে অনেক বড় অবদান রাখছে। সে তার সতীর্থদের সুন্দরমতো দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। কোচরাও স্বাধীনতা দিচ্ছেন। সব ধরনের ক্রিকেটেই এমনটা জরুরি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করতে এটা (স্বাধীনতা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।