বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে স্থায়ী বহিষ্কৃত ইডেন ছাত্রলীগের ১২ জন নেত্রী কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় গেছেন।
কৃষিমন্ত্রীর বাসভবনের একটি সূত্র এবং বহিষ্কৃত এক সহসভাপতি বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
বাসার সূত্র বলেন, ‘স্যারের (রাজ্জাক) সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইডেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা এসেছেন। তাঁরা স্যারকে তাঁদের বহিষ্কারের বিষয়টি একপক্ষীয় বলে উল্লেখ করেছেন। ইডেনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিস্তারিত জানিয়েছেন।’
ইডেনের এক বহিষ্কৃত সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করতে এসেছি। আমরা এসব বিষয় মিডিয়ায় বলতে চাচ্ছি না। মোটাদাগে আমাদের বহিষ্কারের বিষয়টি “অনৈতিক”, সেটি জানিয়েছি। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ভাইয়ের সহযোগিতা চেয়েছি।’
চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়াকে কেন্দ্র করে সদ্য স্থগিত হওয়া ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারীদের হাতে মারধর ও হেনস্তার শিকার হন সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। একে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে পাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ।
পরে কমিটি স্থগিত ঘোষণা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ১৬ জন নেত্রীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর মধ্যে ১২ জন পদধারী, বাকি চারজন কর্মী। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে একপক্ষীয় উল্লেখ করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন বহিষ্কৃতরা। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসে অনশন থেকে সরে আসেন বহিষ্কৃতরা। এর একদিন পর আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা।