গাজীপুরের কাপাসিয়ার উপজেলা বিএনপির একাংশের মতবিনিময় সভায় আরেক অংশ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংবাদকর্মী, পুলিশসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আছেন যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রকি হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম এবং পুলিশ সদস্য (ডিএসবি) মো. খোরশেদ হোসেন।
গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন জানান, বিএনপি নেতা সেলিমের আমন্ত্রণে ১২-১৩ জন সাংবাদিক বিএনপির একাংশের একটি মতবিনিময় সভার সংবাদ সংগ্রহে উপস্থিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে একদল ব্যক্তি এসে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় সাংবাদিকেরা পরিচয়পত্র দেখালেও তাঁদের মারধর করা হয়। তখন সংবাদকর্মী রকি ছবি ওঠাতে শুরু করলে তাঁর ক্যামেরা ভাঙচুর ও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত রকিকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা সেলিম জানান, তিনি আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে ৪০-৫০ জন শাহ রিয়াজুল হান্নানের নামে স্লোগান দিতে দিতে প্যান্ডেলের ভেতরের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা কার্যালয়ে ঢুকে সাংবাদিকসহ তাঁর ওপর হামলা চালান। এ ব্যাপারে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ রিয়াজুল হান্নান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা যদি দলীয় নেতা-কর্মী হয়ে থাকেন তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।