বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলব, কাউকে চোর বলার আগে নিজেদের আয়নায় দেখেন না, ওখানে কি চোরের প্রতিচ্ছবি দেখা যায় কিনা?’ নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত, আপনাদের নেত্রী এতিমের টাকা চুরির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পায় বাসায় আছেন। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কি আছে? যার নেতৃত্বে এখন চলছেন, তিনি তো লন্ডনে পালিয়ে আছেন। আদালতের রায়ে চোর, সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত তিনি। এরপর কোন লজ্জায় একে, ওকে চোর বলেন। লজ্জা হওয়া উচিত।’
বিএনপি নেতাদের দুই কানকাটা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘এক কান কাটা থাকলে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া যায়। দুই কানকাটা থাকলে রাস্তার মাঝখান দিয়ে যায়। তাদের লজ্জাশরম নাই, অসুবিধা কি? তাদের অবস্থা হচ্ছে দুই কানকাটার মতো নির্লজ্জ একটি দল।’
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য হওয়ায় দলটি দেশে নির্বাচন চায় না বলে অভিযোগ করেছেন হানিফ। তিনি বলেছেন, ‘তারা (বিএনপি) জানে দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নির্বাচন করার সক্ষমতা নাই। তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ কারণেই তাঁরা নির্বাচন চায় না।’
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এটা তাঁরা চায় না। তাই সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত আছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের এটা মাথায় রাখতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি হঠাৎ করে একেক ইস্যুতে একবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা, এখন দ্রব্যমূল্যের কথা বা কালকে আরেকটা ঘটনা চলে আসবে। ওরাতো বলবে ইউক্রেনে কেন যুদ্ধ হচ্ছে, সরকার জবাব চাই। এটা নিয়েও হয়তো রাস্তায় নামতে পারে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত থাকতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী থাকে, তাহলে বিএনপি-জামায়াত রাস্তায় নেমে কোন অপকর্ম করতে পারবে না।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সংসদ সদস্য মহীউদ্দিন খান আলমগীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রমুখ।