রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের আগে দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘সবার মানসিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা যদি রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার করতে পারি, তাহলেই দুইয়ে দুইয়ে চার হবে। তাহলেই আমরা একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র পাব।’
রাজধানীর গুলশানে আজ রোববার বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আহত, ক্যানসার- আক্রান্ত রোগী ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা যারা পরিচালনা করবে, তাদের মানসিক সংস্কার হওয়া দরকার। জনগণের মানসিক সংস্কার হওয়া দরকার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার হওয়া দরকার।
‘আমরা যদি জনগণ হিসেবে মনে করি, সব দায়িত্ব সরকারের, সেটা ভুল হবে। সরকার কী করবে তা নয়; জনগণ দেশের জন্য কী করবে, সেটিও ভাবতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন, মানসিক সংস্কার প্রয়োজন। এটাই আমাদের সামাজিক আন্দোলন হওয়া উচিত। সমাজ, রাষ্ট্র—এমনকি দলকেও প্রতিদিনই সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা একটি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তিনি বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জীবনদানকারীদের আমরা জাতীয় বীর আখ্যায়িত করলাম”। আমি তাঁর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, দীর্ঘ ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য—তাঁরাও জাতীয় বীর।
‘শুধু জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, তা নয়। এই রক্তের সিঁড়ি তৈরি হয়েছে দীর্ঘ ১৬ বছরের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।’