লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নামে শাহাদাত হোসেন সেলিম গং পরিচালিত যেকোনো কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করেছেন এলডিপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাঁর সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি বর্তমানে ওই দলকে সমর্থন করছে না বলেও জানান তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে এলডিপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির সভাপতি ড. অলি আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি চিঠি উপস্থাপন করেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রলুব্ধ করা ও প্রতারণার আশ্রয়ে এলডিপির প্যাডে প্রত্যয়নপত্র প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর এলডিপির জাতীয় কাউন্সিলে অনুপস্থিত থেকে নির্বাচিত হতে পারে নাই। পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সেই আক্রোশে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহাদাত হোসেন সেলিম এলডিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হন।
আওরঙ্গজেব আরও বলেন, শাহাদাত হোসেন ও দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব টিটু তাঁর সঙ্গী ফয়সালের সঙ্গে আমেরিকাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পার্টির প্যাডে সনদ প্রদানের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেন। শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজেকে দলের মহাসচিব উল্লেখ করে যেসব রাজনৈতিক কাজ করছেন, তা এলডিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় তাঁর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানান দলের সদস্যরা।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আমাদের মহাসচিবের কথা হয়েছে। তাঁরা এখন আর শাহাদাত হোসেনকে সমর্থন করেন না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশির, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম প্রমুখ।