যাঁরা লন্ডনে বসে রাজনীতি করেন, উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না। তাঁদের উদ্দেশ্য দেশে এমন একটা সরকার আনা যেন দেশটা অন্য কারও হাতে চলে যায়। আজ সোমবার এক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এসব কথা বলেছেন।
আজ সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা এখনো কাউকে আঘাত করি নাই, কোনো ঝামেলা করি নাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাদের প্রশ্ন করতে চাই, এ কোন বাংলাদেশ? এমন দেশ তো আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৮ তারিখ সমাবেশে এক পুলিশকে হত্যা করা হলো। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁরা কোনো পার্টির হয়ে কাজ করেন না। তাঁদের কাজ খবর প্রচার করা। কিন্তু তাঁদের ওপর যে বর্বর হামলা করা হলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। তারা মিথ্যা আশা দিয়ে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা গোপনে চেষ্টা করছেন দল বদলানোর।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেভাবে মানুষের জানপ্রাণ রক্ষার জন্য কাজ করছেন, সে জন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যে কারওই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার অধিকার আছে। মানুষ ইচ্ছা করলে গাড়ি চালাবে না। আবার জোর করে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়াও উচিত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর মতো নেতা ৭-৮ জন লোক নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অগ্নিসংযোগ করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাই যদি এমন করেন তাহলে বুঝতে হবে রাজনীতি কোথায় গেছে। তাদের এখন জনগণ মানে না। তাদের ধ্বংসাত্মক কাজ কখনো স্বাধীনতার শক্তির সঙ্গে পারবে না। তারা পশুর চেয়ে অধম হয়ে গেছে। তা না হলে মৃত মানুষকে এভাবে কীভাবে মারে। যাঁরা আগুন নিয়ে খেলছেন, মানুষের এমন অভিশাপ নেবেন না। এভাবে রাজনীতি হয় না।’