হোম > রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক সরকারপ্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন নেতা।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক শোকবার্তায় জানায়, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) শোকবার্তায় উল্লেখ করে, স্বৈরতন্ত্র ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। দীর্ঘ কারাবাস, নির্যাতন ও চিকিৎসাবঞ্চনার মধ্যেও তাঁর আপসহীন অবস্থান জনগণের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে জানায় সংগঠনটি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক ছিলেন। এক-এগারোপরবর্তী গণতান্ত্রিক উত্তরণে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, খালেদা জিয়াকে কখনো প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে দেখা যায়নি। তাঁর জনপ্রিয়তার মধ্যেও অহংকার ছিল না। সত্যিকার অর্থে জাতি একজন অভিভাবককে হারিয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক শোকবার্তায় বলেন, গণতন্ত্র ও বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শোকবার্তায় বলেন, দেশের কল্যাণে তাঁর আজীবন সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দিকনির্দেশনা হয়ে থাকবে।

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এক বিবৃতিতে বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তাঁকে লড়াকু ও দৃঢ়চেতা নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে দলটি গভীর শোক জানায়।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপোষহীন। তাঁর শূন্যতা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান শোকবার্তায় বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব ও আধিপত্যবাদবিরোধী রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছে।

জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল এক বিবৃতিতে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকারের সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি এ এইচ এম ফারুক, সিনিয়র সহসভাপতি মিতায়ন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ভূইয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা পার্বত্যবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী শোকবার্তায় বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র সুসংহতকরণ ও বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শোক প্রকাশ করে বলেন, নারী শিক্ষা, এসএমই খাত ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিকাশে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসাইন ও মহাসচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এক শোকবার্তায় বলেন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতীয় জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি। ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তাঁর আপোষহীন নেতৃত্ব সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বহুদলীয় ও সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর নেতৃত্ব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

হাসপাতালে খালেদার শেষ দিনগুলো

দেড় দশকের ছায়াসঙ্গী ফাতেমা

ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন

মনোনয়নপত্র দাখিলে শীর্ষে বিএনপি, এরপর জামায়াত

হাদির মায়ের চিকিৎসার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত আমির

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনা এড়াতে পারে না: রাশেদ খান

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

বিএনপির সব পদ থেকে রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার