আজ থেকে ১১ বছর আগে কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে পাখির মতো হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এই নিষ্ঠুরতার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, ‘সীমান্ত অরক্ষিত রেখে কোনো স্বাধীনতাই স্বাধীনতা না, কোনো গণতন্ত্র গণতন্ত্র না।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেলানী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাগপার সভাপতি এ কথা বলেন।
তাসমিয়া বলেন, ‘ফেলানী ছিল আমাদের বোন, আজ থেকে ১১ বছর আগে সিমান্তে ঝুলে ছিল তার লাশ। আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র বলে পরিচয় দেয় ভারত, আমাদের বোন যখন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছিল তখন পাখির মতো গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। ভারত আমাদের বাঁধ দিয়ে কষ্ট দেয়, সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে, আমাদের পানিতে মারে, ভাতে মারে।’
জাতিসংঘের কাছে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বলেন, ‘আমরা ফেলানীর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। ফেলানী হত্যার প্রহসনমূলক বিচার হয়েছে। জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ ফেলানীর যাতে সত্যিকারের বিচার হয়।’
সরকারের সমালোচনা করে জাগপা নেতা বলেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেলের কথা বলে তারা, আমি বলবো বাংলাদেশ দুর্নীতির রোল মডেল। বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের রোল মডেল। বাংলাদেশ দুঃশাসনের রোল মডেল। আজকের দিনে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে দেশের সকল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াব এবং সীমান্তে যত হত্যাকাণ্ড হবে তার বিরুদ্ধে আমরা আজীবন প্রতিবাদ করে যাব।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের প্রসঙ্গে জাগপা সভাপতি বলেন, ‘আজকে যে হাস্যকর সংলাপ হচ্ছে এই সংলাপে আমরা সন্তুষ্ট নই। নিরেপক্ষ নির্বাচন কমিশন করতে হবে এবং তার অধীনে একটি নিরেপক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বোঝা যাবে এই সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ চায় না।’