গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তিনি দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে আজ শুক্রবার রাজনীতির মাঠে ফিরলেন তিনি।
আজ রাজধানীর মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে জামায়াতের কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতেই নিজের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাননি বলে জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ, যাদের বিদেশে যাওয়ার সক্ষমতা নেই, তাঁরা দেশের চিকিৎসায় ভরসা রাখেন। সাধারণ মানুষ যেখানে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারে না, সেখানে আমি কীভাবে বিদেশে যাই? দেশের চিকিৎসার প্রতি সব সময় আস্থা ছিল। সেই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ফেরাতে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে দেশেই চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ২২ জন চিকিৎসক আমাকে দেখে বললেন, আপনার অবস্থা বেশ জটিল, বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের অনুরোধ, আপনি চিকিৎসাটা দেশের বাইরে করান। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বললাম, সুস্থতা তো আল্লাহর হাতে। যে আল্লাহ আমাকে অন্য কোনো দেশে সুস্থতা দিতে পারেন, আমি বিশ্বাস করি, আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও তিনি আমাকে সুস্থতা দিতে পারেন।
জামায়াত আমির বলেন, রাজনৈতিক মহলের বন্ধুদের জন্য আমার এই আহ্বান, যে চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে, তার জন্য বিদেশে যাওয়া উচিত নয়।
জামায়াত শুধু দেশের নাগরিক এবং জনগণের জন্য রাজনীতি করে—এমনটি উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে জামায়াতে ইসলামী। ক্ষমতায় গেলে দেশের বঞ্চিত মানুষের উন্নতি করাই হবে প্রধান লক্ষ্য। জামায়াতে ইসলামী তেলা মাথায় তেল দেবে না।