মিছিল-মিটিংসহ সুস্থ রাজনীতির ধারায় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও ‘আবার সহিংসতার’ পথে যাওয়ায় জনবিচ্ছিন্ন ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে এবং মানুষকে হত্যা করে সরকারে যাওয়া যায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় দেশে গণতন্ত্র থাকুক এবং রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ সেই রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। সারা দেশে দলের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘বিএনপি তাদের রাজনীতি, মিছিল-মিটিং করলেও আওয়ামী লীগ সেখানে বাধা দেয়নি। মিছিল-মিটিং ও সুস্থ রাজনীতির সময় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছিল, ভালো জমায়েতের পাশাপাশি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছিল। কিন্তু যখন তারা আবার সহিংসতার সেই পুরোনো রূপে ফিরে গেল, তখন তারা আবার জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।’
এ সময়, ‘কেবল দেশের জন্যই’ তিনি কাজ করেন এবং ‘কোনো দেশের তাবেদারি করেন না’ বলেও দাবি করেন শেখ হাসিনা।
অতীতের মতো ‘মনোনয়ন ব্যবসা করার’ জন্য হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কার কত দম, সেটাও দেখতে চায় আওয়ামী লীগ।’
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেশবাসীকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আজ সকালে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভা হয়।